নির্ধারিত নাগরিকসেবা প্রদানের জন্য পৌরসভা একটি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। পর্যাপ্ত ও মানসম্মত নাগরিকসেবা প্রদানের সাথে নাগরিক সন্তুষ্টি জড়িত। পৌরকর হলো এ প্রতিষ্ঠানটিকে সফলভাবে পরিচালনার জন্য অর্থের অন্যতম প্রধান উৎস। নাগরিকসেবা প্রদান পর্যাপ্ত পরিমাণ পৌরকর আদায়ের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে পৌরসভা কর্তৃক পৌরকর আদায়ের ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া খুবই প্রয়োজন।
পৌরসভার রাজস্ব আয়ের মূল উৎস পৌরসভা কর্তৃক আরোপিত ‘কর’। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ৯৮ ধারা এবং পৌরসভা কর আরোপ ও আদায় পদ্ধতি বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ২(খ) অনুযায়ী ‘কর’ অর্থ কোন কর, উপ-কর, রেইট, টোল, ফিস, শুল্ক অথবা আইনের অধীনে আরোপযোগ্য অন্য কোন কর। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর তৃতীয় তফসিলে সকল ধরনের করের তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উক্ত কর তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইমারত ও ভূমির বার্ষিক মূল্যের ওপর কর। হোল্ডিংকরসহ বাতি রেইট, অগ্নি রেইট, ময়লা আবর্জনা অপসারণ রেইট এবং পানি রেইটকে “পৌরকর (পৌরসভা কর)” নামে অভিহিত করা হয়।
পৌরসভা তার রাজস্ব আয় থেকে নাগরিকবৃন্দকে নাগরিকসেবা (যেমন- অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ, সড়ক বাতি, আবর্জনা অপসারণ এবং পানি সরবরাহ ইত্যাদি) প্রদান করে থাকে। পক্ষান্তরে, পৌরসভার রাজস্ব আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস পৌরকর। পৌরসভা এলাকার মধ্যে অবস্থিত সকল ইমারতই এর আওতাভুক্ত। সুতরাং, পৌরসভার অধিবাসীগণকে নাগরিকসেবা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য পৌরকর আদায় করা পৌরসভার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
আলোচ্য হ্যান্ডবুকে পৌরকর আদায় সংক্রান্ত বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে যেমনঃ পৌরকর আদায় সংক্রান্ত আইনগত বিষয়, কর আদায়ের দক্ষতা বৃদ্ধির উপায়, দাবি ও আদায় সংক্রান্ত দাপ্তরিক প্রমাণপত্র প্রণয়ন ও সংরক্ষণ যেমন: কর বিল, কর আদায় রসিদ, কর দাবি ও আদায় রেজিস্টার এবং প্রয়োজনীয় বিবরণী প্রণয়ন ইত্যাদি।